ফেনীতে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জামাল উদ্দিন সেন্টুকে সময় না দেয়ার অভিযোগে থানায় যোগদানের প্রথম দিনেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন ওসি মো. কামরুজ্জামান। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে সোনাগাজী মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন মো. কামরুজ্জামান। গত শনিবার প্রথম কর্মদিবসে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক সেবাপ্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলছিলেন নবাগত ওসি।
এ সময় স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু ওসির কক্ষে প্রবেশ করে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চান। ওসি তাকে পরে আসতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে থানা ত্যাগ করেন সেন্টু।
কিছুক্ষণ পর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহাগ নূর ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন পিয়াসের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল থানায় গিয়ে সরাসরি ওসির কক্ষে ঢুকে পড়েন। তারা ওসিকে শাসিয়ে জামাল উদ্দিন সেন্টুকে অসহযোগিতা ও অসম্মানের কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তাদের বাকবিতণ্ডায় ওসির কক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। পরে থানার ওসি (তদন্ত) মাকসুদ কামাল ও সদ্য বিদায়ী ওসি সুদ্বীপ রায় এগিয়ে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, পুলিশ, ডিসি, এসপিসহ অন্য পদে এখনও আ.লীগের লোকজন বসে আছে।
বিএনপি-জামায়াত মাইন্ডের লোকজন এখনও আসেনি। ভাইয়ের টান ভাইয়ের প্রতি তো থাকবেই। থানায় ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ লোক আসায় ওসি তাকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি (ওসি) নিজেও আ.লীগের লোক। সেখানে আমার চেয়েও ওবায়দুল কাদেরের ওই লোক ওসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাকে সময় দিলেও তিনি আমাকে দেননি।
থানায় হট্টগোল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, নেতাকর্মীরা ওসির কাছে সালিশ করতে পারেন কি না, জানতে চেয়েছেন। কোনো হট্টগোল করেননি। পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ওসি সালিশ করবেন, এটি হয় নাকি। সালিশে গুরুত্ব দিলে রাজনৈতিক দলের নেতারা আসলে তাদের গুরুত্ব দেবে কীভাবে?
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষ করার পর এক সেবাপ্রত্যাশীর অভিযোগ শুনছিলাম। এমন সময় আমার কক্ষে জামাল উদ্দিন সেন্টু সাহেব আসলে হ্যান্ডশেক করে তাকে বসতে বলি। সেবাপ্রত্যাশী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে উনাকে (সেন্টু) আমি দুই মিনিট অপেক্ষা করতে বলি।
ওসি বলেন, এরপর উনি (সেন্টু) না বসে থানা থেকে চলে যাওয়ার পরপরই ১০-১৫ জনের একটি দল এসে হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে আমার কক্ষে এসে উচ্চ স্বরে বাক্য বিনিময় করে।
টিএইচ